রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসের তালিকায় নতুন চার হাজার রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৫

খুলনায়  প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসের তালিকায় নতুন চার হাজার রোগী
সাঈয়েদুল মুরছালীন মিরাজ:
প্রতি বছর গড়ে চার হাজার নতুন ডায়াবেটিকস রোগী তালিকাভুক্ত হচ্ছে। খাদ্যাভাস ও ভেজাল খাবারের কারনে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় খুলনায় ডায়াবেটিস মূল কারন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জেলায় এক লাখ ৩০ হাজার রোগী নিবন্ধিত, নিবন্ধন ছাড়াও অনে রোগী যারা  ডায়াবেটিক সমিতি ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৮-১০ বছরের শিশু সহ প্রায় সিংহভাগই  নারী। রোগী প্রতি, মাসে দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা।
 বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে নড়ে চড়ে বসেছে এখানকার কর্মকর্তারা,নানা আয়োজন সমিতিতে। 
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি মরণব্যাধি। ইনসুলিন আর নিয়ম মাফিক জীবন না চালালে মরাত্মক হতে পারে। শরীর  চেহারার পরিবর্তন হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এর দরুন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অর্গান এক এক করে নষ্ট হতে থাকে। এতে আক্রান্ত রোগীর হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউর, অন্ধত্ব, পায়ের খত স্থানে পচন ধরতে পারে, এমনকি পা কেটে ফেলারও প্রয়োজন হতে পারে। এ ভয়ানক রোগ থেকে বাচার জন্য  জনসচেতনতা এবং জনসম্পৃক্ততা জরুরী।
নুরনগর ডায়াবেটিক হাসপাতাল ২২টি শয্যা বিশিষ্ঠ হওয়া সত্বেও এখানে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়না।অন্যদিকে খুলনা ডায়াবেটিক সমিতিতে ডাযাবেটিকস জনিত ঔষুধ কিছু পাওয়া গেলেও সকল প্রকার ঔষধ পাওয়া যায় না।এখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮০-৯০ জন রোগী চিকিৎসা নেই।রোগী প্রতি একশত টাকা ফি নেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে।নুরনগর ও সমিতি এই দুই প্রতিষ্ঠানে রোগীদের চিকিৎসার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা না থাকায়  রোগীদের বাধ্য হয়ে খুলনা মেডিকেল, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, গাজী মেডিকেল, আদদ্বীন, সিটি মেডিকেল ও ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।
রক্তের গ্লুকোজ বেড়ে যাওয়া, খাবারে ভেজাল, অলস জীবন,  অর্থনৈতিক সংকট ও মানসিক ডিপ্রেশন এই পাঁচটি কারনে খুলনা জেলায় রোগীর সংখ্যা বাড়ার পেছনে উল্লেখ্য বলে মনে করেন ডায়াবেটিক সমিতির সিনিয়র মেডিকেল অফিসার । তিনি আরও বলেন অতি মাত্রায় ফাস্ট ফুড গ্রহন করাও আরও একটি কারন।  তিনি বলেছেন এ রোগের ফলে, “ হৃদরোগ, কিডনী, লিভার, পঙ্গুত্ব, যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া ও অন্ধত্ব বেড়ে যাচ্ছে।”
এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের একটাই মনের ইচ্ছা যে,এই দুই প্রতিষ্ঠানের পরিপূর্ণতা আনাহোক,যাতে এই রোগির জন্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।অন্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা ব্যায়বহুল।
0 Comments